অংশীদারি /পার্টনারশীপ ব্যবসায়ের চুক্তিপত্রের নমুনা

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
অংশীদারী চুক্তিপত্র

(নাম লিখুন), পিতাঃ মো: আব্দুর রহমান, মাতাঃ আমিনা বেগম, ঠিকানাঃ গ্রাম: ভবানীপুর, পোষ্ট: ওয়ালিয়া, থানাঃ বড়াইগ্রাম, জেলাঃ নাটোর, ধর্মঃ ইসলাম, জন্ম তারিখঃ ১০ই ডিসেম্বর ১৯৯১, জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী ।
——————১ম পক্ষ।

(নাম লিখুন), পিতাঃ রুহুল আমিন, মাতাঃ মোসা: হালিমা খাতুন, ঠিকানাঃ গ্রামঃ মালিফা (খানপাড়া), পোষ্ট: রাইপুর ক্ষেতুপাড়া, থানা: সুজানগর, জেলা: পাবনা । ধর্মঃ ইসলাম, জন্ম তারিখঃ ১৪ই জুন ১৯৯১, জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী ।
——————২য় পক্ষ।

মহান আল্লাহর নামে অত্র অংশীদারী চুক্তিপত্র সম্পাদনার্থে শুরু করিতেছি যে, আমরা পক্ষগণ অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে নির্মান (ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান) সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যাবলী সহ ব্যবসা করিবার জন্য পরস্পর পরস্পরের সহিত আলোচনার ভিত্তিতে সম্মত ও ঐক্যমতে উপনীত হইয়া নিম্ন শর্তাদি সাপেক্ষে অত্র পার্টনারশীপ বা অংশীদারী ব্যবসার দলিল সম্পাদন করিলাম।

১। ব্যবসার নাম ও ঠিকানাঃ- ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম হইবে “প্রতিষ্ঠানের নাম লিখুন’’, এবং ইহার বর্তমান অফিস হইবে বাড়ী : ২৮ ( নিচতলা), রোড: ০৯, নিকুঞ্জ—২, খিলক্ষেত ঢাকা । তবে ভবিষ্যতে পক্ষগণের সর্ব সম্মতির ভিত্তিতে অংশীদারী ব্যবসার প্রয়োজনে অফিস স্থানান্তর করা যাইবে কিংবা শাখা অফিস খোলা যাইবে।

২। ব্যবসায়ের ধরনঃ নির্মান (ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান) এর সকল কার্যক্রম যেমন: আরসিসি কাঠামো ,স্টিল কাঠামো . ইত্যাদি । ইহা ছাড়াও, পক্ষগণ ভবিষ্যতে একমত হইয়া সর্বসম্মতভাবে যে কোন বৈধ ব্যবসা করিতে পারিবে।

৩। মেয়াদকালঃ অত্র অংশীদারী চুক্তিপত্র অদ্য সম্পাদনের তারিখ ( ২১শে ডিসেম্বর ২০১৫) হইতে কার্যকর হইবে এবং তাহা পক্ষগনের সম্মতির ভিত্তিতে অবসায়ন না হওয়া পর্যন্ত কার্যকর থাকিবে।

৪। ব্যবসার মুলধনঃ ব্যবসার প্রয়োজন অনুসারে ১মপক্ষ ৪৯% এবং দ্বিতীয় পক্ষ ৫১% টাকা বিনীয়োগ করবেন । অর্থাৎ অংশীদারী ব্যবসায় যথাক্রমে ১ম পক্ষ ৪৯% এবং, ২য় পক্ষ ৫১% মালিকানা প্রাপ্ত হইলেন।

৫। ঋণ/বিনিয়োগ গ্রহণঃ ব্যবসার প্রয়োজনের কোম্পানী যে কোন ব্যক্তি, ব্যাংক বা অর্থ লগ্নিকারী প্রতিষ্ঠান হইতে ঋণ/ বিনিয়োগ সুবিধা গ্রহণ করিতে পারিবেন । ঋণ/বিনিয়োগের দায়ভার চুক্তিপত্রের পক্ষগণ তাহাদের মালিকানার আনুপাতিক হারে বহন করিতে বাধ্য থাকিবেন। ঋণ/বিনিয়োগ গ্রহণের পূর্বে অবশ্যই সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিতে হইবে।

৬। দায়-দেনাঃ পক্ষগণ তাহাদের বিনিয়োগকৃত মূলধনের অনুমাতে অথার্ৎ ১মপক্ষ ৪৯% এবং দ্বিতীয় পক্ষ ৫১% টাকা অনুপাতে ব্যবসার দায়-দেনা ও লাভক্ষতির দায়িত্বভার বহণ করিবেন। তবে, বর্তমান পার্টনারের বিনিয়োগ প্রত্যাহারে বা পূনঃ বিনিয়োগে কিংবা নতুন পার্টনারের বিনিয়োগে উল্লেখিত অনুপাত পরিবর্তন হইতে পারে। পক্ষগণের মধ্যে কোনপক্ষ যদি অত্র অংশীদারী প্রতিষ্ঠানে প্রত্যক্ষভাবে সার্বক্ষনিক পরিচালনায় নিয়োজিত থাকেন, সেইক্ষেত্রে আলোচনা সাপেক্ষে তাহার/তাদের বেতন ও সুবিধা নির্ধারণ করা হইবে।

৭। লাভ লোকসান বন্টনঃ অত্র অংশীদারী চুক্তিপত্র সম্পাদনের পর হইতে ৬ (ছয়) মাস অন্তর অন্তর বৎসরে দুই বার বা পার্টনারদের সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবসার আয়—ব্যয় ও হিসাব নিকাশ সমাপ্ত করিয়া পার্টনারগনের মধ্যে লাভ লোকসান বন্টন করা হইবে অথবা লাভ—লোকসান মূলধনের সহিত সমন্বয় করা যাইবে।

৮। ব্যবসার ব্যবস্থাপনাঃ অত্র অংশীদারী ব্যবসার পার্টনারগণ সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে ব্যবসার সার্বিক তত্ত্বাবধান ও সাংগঠনিক দায়িত্ব পালনের জন্য নিজেদের মধ্য হইতে কিংবা বাহিরের কোন উপযুক্ত ব্যক্তিকে চুক্তির মাধ্যমে সিইও পদে নিয়োগ প্রদান কিংবা উক্তরূপ নিয়োগ বাতিল করিতে পারিবেন। উক্তরূপ নিয়োগপ্রাপ্ত সিইও কারবারের পার্টনারগণের সিদ্ধান্ত ও অনুমোদন অনুযায়ী ব্যবসার দৈনন্দিন কাযক্রম পরিচালনা করিবেন, ব্যবসার হিসাবপত্র ও কাগজপত্রে কোম্পানীর পক্ষে স্বাক্ষর করিবেন এবং বিভিন্ন সরকারী/ আধাসরকারী/ বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে অত্র অংশীদারী ব্যবসার প্রতিনিধিত্ব করিবেন অত্র অংশীদারী ব্যবসার কর্মচারী নিয়োগ, ছাটাই, তাহাদের বেতন, ভাতা প্রদানসহ ব্যবসা সংক্রান্ত পরিকল্পনা, বাজেট প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন প্রভৃতি ক্ষেত্রে পার্টনারগনের সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত গন্য হইবে।

৯। ব্যাংক হিসাব পরিচালনাঃ (প্রতিষ্ঠানের নাম লিখুন) এর নামে যে কোন সরকারী/বেসরকারী তপশীলি ব্যাংকে এক বা একাধিক চলতি হিসাব বা যে কোন হিসাব খোলা যাইবে এবং উক্ত ব্যাংক হিসাব/ হিসাবসমুহ পার্টনাগনের সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তের কার্য্যবিবরনী (রেজুলেশন) অনুযায়ী দুই জন পার্টনার যৌথ স্বক্ষরে পরিচালিত হইবে। পার্টনারগনের সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তক্রমে “এইচআর স্টিল’’ এর নামীয় ব্যাংক হিসাবের সিগনেটরী পরিবর্তন করা যাইবে।

১০। রেকর্ড পত্রঃ ব্যবসার হিসাব নিকাশ এর সুবিধার্থে এবং অনুরূপ ভাবে হিসাব— নিকাশ রক্ষনাবেক্ষনের প্রয়োজনে প্রতিষ্ঠানের নামে ক্যাশ মেমো, ডেলিভারী চালান, লেজার বই, ক্যাশ বই, দৈনন্দির হিসাবের বই ও ভাউচার ইত্যাদি রক্ষিত হইবে। যাহা ব্যবসার অফিসে সংরক্ষিত থাকিবে কোন পক্ষ ইচ্ছা করিলে ব্যবসার যাবতীয় নথি পরিদর্শনে সক্ষম থাকিবেন।

১১। পার্টনারগনের সভাঃ প্রতি মাসে অন্ততঃ একবার পার্টনারগনের সভা অনুষ্ঠিত হইবে ইহা ছাড়াও, জরুরী প্রয়োজনে যে কোন সময় পার্টনারগনের সভা আহবান করা যাইবে ব্যবসা সংক্রান্তে যে কোন সিদ্ধান্ত সভায় উপস্থিত পার্টনারগনের সম্মতিক্রমে অনুমোদিত হইবে।

১২। বিনিয়োগ প্রত্যাহারঃ অত্র চুক্তিপত্রের যে কোন পক্ষ ব্যবসা পরিচালনায় ইচ্ছুক না হইলে কিংবা পুঁজি প্রত্যাহার করিতে চাহিলে অপর পক্ষগনের নিকট ৩ (তিন) মাসের পূর্ব নোটিশ প্রদান করিবেন এবং উক্ত সময়কালের মধ্যে ব্যবসার দায়—দেনা ও হিসাব—নিকাশ চুড়ান্ত করা হইবে। চুড়ান্ত হিসাব—নিকাশ শেষে দায় সম্পত্তির দায়িত্ব বিদায় পক্ষ গ্রহণ করিতে বাধ্য থাকিবেন। বিদায়ী পার্টনারের শেয়ার অবশিষ্ট পার্টনার ক্রয় না করিলে যে কোন কেউ এককভাবে ও যৌথভাবে তাহা ক্রয় করিতে পারিবেন। অত্র অংশীদারী ব্যবসা চালু থাকা অবস্থায় কোন পার্টনার অপর পার্টনারকে অবহিত না করিয়া তাহার শেয়ার ভিন্ন কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বরাবরে বিক্রয়, বন্ধক, হস্তান্তর কিংবা দায়বদ্ধ করিতে পারিবে না।

১৩। মৃত পার্টনারে স্থলাভিষিক্তকরণঃ অত্র অংশীদারী মেয়াদকালে কোন পক্ষ মারা গেলে মৃত ব্যক্তির আইনানুগ ওয়ারিশগণ কিংবা মনোনীত ব্যক্তিগণ মৃত পার্টনারের ব্যবসার শেয়ার প্রাপ্ত হইবে এবং অংশীদারী ব্যবসায় প্রতিনিধিত্ব করিবেন। মৃত পার্টনারের ওয়ারিশ/নমিনী স্থলাভিষিক্ত হইতে  অনীহা প্রকাশ করিলে ব্যবসা হিসাব—নিকাশ চূড়ান্ত পূর্বক ব্যবসায় মৃত ব্যক্তির হিস্যা নির্ধারণপূর্বক তাহা ওয়ারিশ/নমিনীকে বুঝাইয়া দেওয়া হইবে।

১৪। বিরোধ মীমাংসাঃ পার্টনারগণের মধ্যে চুক্তিপত্র বা ব্যবসা সংক্রান্ত কোন বিষয়ে মত বিরোধ দেখা দিলে উক্ত বিরোধ নিষ্পত্তির লক্ষ্যে পার্টনারগণের মনোনীত ৩ (তিন) জন শালিসকারকের সিদ্ধাšত অনুযায়ী বিরোধ মীমাংসা হইবে। যদি কোনভাবেই বিরোধ মীমাংসা না হয় তাহলে বিরোধ মীমাংসার জন্য পার্টনারগণ আদালতের শরণাপন্ন হইতে পারিবে ।

১৫। অত্র অংশীদারী চুক্তিপত্রে সন্নিবেশিত হয় নাই এমন কোন প্রশ্নে পক্ষগণের মধ্যে কোন বিরোধ দেখা দিলে ১৯৩২ ইংরেজি সালের অংশীদারী আইনসহ সংশি­ষ্ট আইনের বিধান প্রযোজ্য হইবে।

১৬। অত্র অংশীদারী চুক্তিপত্রের পার্টনারগণ চুক্তিপত্রের যে কোন ধারা সংযোজন, সংশোধন, বিয়োজন কিংবা অত্র অংশীদারী ব্যবসার অবসায়ন কিংবা অত্র অংশীদারী ব্যবসাকে অন্য যেকোন ধরণের ব্যবসায় রূপাšতরের ক্ষমতা সংরক্ষণ করেন। এই ক্ষেত্রে অত্র চুক্তিপত্রের ১১ নং ধারা অনুসৃত হইবে।

এতদ্বার্থে সুস্থ মস্তিষ্কে, কাহারো বিনা প্ররোচনায় অত্র অংশীদারী চুক্তিপত্রের বক্তব্য ও শর্তাদি পড়িয়া, পড়াইয়া, শুনিয়া এবং ইহার মর্ম অবগত হইয়া স্বেচ্ছায় স্বজ্ঞানে নিম্নলিখিত সাক্ষীগণের সম্মুখে অত্র অংশীদারী চুক্তিপত্র সম্পাদন করিয়া দিলাম।

তারিখঃ

মুসাবিদাকারকঃ


সাক্ষীগণের স্বাক্ষর
১।

২।

৩। 
পক্ষগণের স্বাক্ষর



১ম পক্ষের স্বাক্ষর



২য় পক্ষের স্বাক্ষর



অংশীদারি /পার্টনারশীপ ব্যবসায়ের চুক্তিপত্রের নমুনা ডাউনলোড

{getProduct} $button={Download Now} $price={Free} $free={yes} $icon={download}

Post a Comment

Previous Next

نموذج الاتصال

Clicky