বাড়ী/ফ্ল্যাট
ভাড়ার চুক্তিপত্র
--- প্রথম পক্ষ
মালিক
জনাব .............................., পিতা- .............................,
বর্তমান ঠিকানাঃ ..........................................., স্থায়ী ঠিকানাঃ ..................................................,
জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী, ধর্মঃ ইসলাম, পেশাঃ ................।
--- দ্বিতীয় পক্ষ/ভাড়াটিয়া
পরম করুণাময় মহান আল্লাহ তায়ালার নাম স্মরণ করিয়া অত্র বাড়ী/ফ্ল্যাট
ভাড়ার চুক্তিপত্রের বর্ণনা লিখিতে আরম্ত করিলাম। যেহেতু আমরা প্রথম পক্ষ/মালিক নিম্ন
তফসিল বর্ণিত বাড়ী/ফ্ল্যাটখানা মাসিক ভাড়া দেওয়ার প্রস্তাব প্রকাশ্যে ঘোষণা করিলে
পর আপনি দ্বিতীয় পক্ষ/ভাড়াটিয়া বাড়ী/ফ্ল্যাটখানা ভাড়ায় গ্রহণের আগ্রহ প্রকাশ-করেন
এবং উভয় পক্ষের আলাপ আলোচনার পর বাড়ী/ফ্ল্যাটটির মাসিক ভাড়া ৩০,০০০/- (ত্রিশ হাজার) টাকা ধার্য্য করা
হয় এবং অগ্রীম স্বরুপ ৬০,০০০/- (ষাট হাজার)
টাকা (যাহা ফেরৎ যোগ্য) সু-স্থির ০২ (দুই) বৎসর মেয়াদের জন্য জানুয়ারী ২০২৫ ইং
মাস হইতে নিম্নলিখিত শর্তাধীনে অত্র চুক্তিপত্রে আমরা উভয়পক্ষ আবদ্ধ হইলাম।
শর্ত
ও নিয়মাবলী
০১।
অত্র বাড়ী/ফ্ল্যাট ভাড়ার মেয়াদ ০১/০১/২০২৫ইং তারিখ হইতে ৩১/১২/২০২৬ ইং তারিখ পর্যন্ত
অর্থাৎ আগামী ০২ (দুই) বছরের জন্য বলবৎ থাকিবে।
০২।
ভাড়াকৃত বাড়ী/ফ্ল্যাট খানার বিপরীতে অগ্রীম স্বরুপ ৬০,০০০/- (ষাট হাজার) টাকা (যাহা ফেরত যোগ্য) দ্বিতীয় পক্ষ/ভাড়াটিয়া,
প্রথম পক্ষ/মালিককে প্রদান করিবেন এবং যাহা ইতিপূর্বে যথাযথ প্রদান করা হইয়াছে।
চলমান পাতা-০২
পাতা নং-০২
০৩।
ভাড়াকৃত বাড়ী/ফ্ল্যাট খানার মাসিক ভাড়া ৩০,০০০/-
(ত্রিশ হাজার) টাকা জানুয়ারী ২০২৫ ইং মাস হইতে প্রতি ইংরেজী মাসের ১০ (দশ) তারিখের
মধ্যে দ্বিতীয় পক্ষ/ভাড়াটিয়া, প্রথম পক্ষ/মালিককে রশিদ গ্রহণের মাধ্যমে পরিশোধ করিবেন।
মাসিক ভাড়া প্রতি ইংরেজী মাস অনুসারে গননা চলিবে।
০৪।
নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পর পর ০২ (দুই) মাস দ্বিতীয় পক্ষ/ভাড়াটিয়া যদি মাসিক ভাড়া
পরিশোধে ব্যর্থ হন, তবে অত্র চুক্তিপত্র বাতিল বলিয়া গণ্য হইবে।
০৫।
দ্বিতীয় পক্ষ/ভাড়াটিয়া ভাড়াকৃত বাড়ী/ফ্ল্যাটটি শুধুমাত্র বসবাস সহ বৈধ অফিস পরিচালনার
জন্য ব্যবহার করিতে পারিবেন।
০৬।
চুক্তিপত্রের মেয়াদ উল্লেখিত ০২ (দুই) বছর পর্যন্ত বলবৎ থাকিবে । মেয়াদ শেষে যদি
প্রথম পক্ষ/মালিক নিজে ফ্ল্যাটটি ব্যবহার বা অবস্থান না করিয়া ভাড়া দেন, তাহলে দ্বিতীয়
পক্ষকে অগ্রাধিকার দিবেন এবং সেক্ষেত্রে উভয় পক্ষের সমঝোতার মাধ্যমে ভাড়া পূনঃনির্ধারণসহ
ভাড়ার মেয়াদ বাড়ানো হইবে।
০৭।
দ্বিতীয় পক্ষ/ভাড়াটিয়া উক্ত চুক্তিপত্রের মেয়াদ শেষ হইবার পূর্বে যদি ভাড়াটিয়া
স্বত্ব ত্যাগ করিতে চান, তাহা হইলে প্রথম পক্ষ/মালিকে ০২ (দুই) মাস পূর্বে ফ্ল্যাট/বাড়ী
ছাড়িয়া দেওয়ার জন্য নোটিশ প্রদান করিবেন, অন্যথায় অগ্রীম ০২ (দুই) মাসের ভাড়ার
সমপরিমান টাকা প্রথম পক্ষ/মালিককে প্রদান করিতে বাধ্য থাকিবেন। দ্বিতীয় পক্ষ/ভাড়াটিয়া
চুক্তিপত্রের মেয়াদের মধ্যে চুক্তির কোন শর্ত ভঙ্গ করিলে অথবা প্রথম পক্ষ/মালিক তার
নিজস্ব প্রয়োজনে অনুরূপভাবে দ্বিতীয় পক্ষ/ভাড়াটিয়াকে ০২ (দুই) মাসের অগ্রীম নোটিশ
দ্বারা মেয়াদ শেষ হইবার পৃবেই উক্ত বাড়ী/ফ্ল্যাটটি ফেরত দিতে অনুরোধ করিবেন ।
০৮।
অগ্রীম ৬০,০০০/- (ষাট হাজার) টাকা বাড়ী/ফ্ল্যাট
ছাড়িয়া দেওয়ার সময় প্রথম পক্ষ/মালিক, দ্বিতীয় পক্ষ/ভাড়াটিয়াকে এককালীন নগদ বুঝাইয়া
দিবেন। চুক্তিপত্র স্বাক্ষরকারীর মৃত্যুর পরে তার উত্তরাধিকারী মিসেস ফরিদা রহমান উক্ত
অগ্রীম ৬০,০০০/- (ষাট হাজার) টাকা দ্বিতীয়
পক্ষ/ভাড়াটিয়াকে ০২ (দুই) মাসের মধ্যে বুঝাইয়া দিতে বাধ্য থাকিবেন।
০৯।
ভাড়াকৃত বাড়ী/ফ্ল্যাটটি দ্বিতীয় পক্ষ/ভাড়াটিয়া অফিস পরিচালনাকালীন সময়ে সকল প্রকার
ব্যবসায়িক করাদিসহ যাবতীয় ব্যবসায়িক লেনদেন নিজ দায় দায়িত্বে করিবেন, ইহাতে প্রথম
পক্ষ/মালিকের কোন প্রকার দায়-দায়িত্ব থাকিবে না।
১০।
চুক্তির মেয়াদকালীন সময়ে দ্বিতীয় পক্ষ/ ভাড়াটিয়া বাড়ী/ফ্ল্যাটটি কাহারো নিকট
লীজ, সাবলেট বা উপ-ভাড়াটিয়ার নিকট হস্তান্তর করিতে পারিবেন না।
চলমান পাতা-০৩
পাতা-০৩
১১।
ফ্ল্যাটটিতে ব্যবহৃত বিদ্যুৎ ও গ্যাস বিল যাহা নিয়মানুসারে আসে তাহা দ্বিতীয় পক্ষ/ভাড়াটিয়া
নিজ তহবিল হইতে পরিশোধ করিবেন।
১২।
দ্বিতীয় পক্ষ/ভাড়াটিয়া ফ্ল্যাটটিতে ব্যবহৃত পানির বিল বাবদ প্রতি মাসে ১,৫০০/- (পনের শত) টাকা এবং ময়লা অপসারন
বিল বাবদ ৩০০ (তিনশত) টাকা প্রথম পক্ষ/মালিককে প্রদান করিবেন।
১৩।
দ্বিতীয় পক্ষ/ভাড়াটিয়া লিফট সহ সার্ভিস চার্জ বাবদ প্রথম পক্ষ/মালিককে প্রতি মাসে
৩,৫০০/- (তিন হাজার পাঁচশত) টাকা প্রদান করিবেন।
১৪।
দ্বিতীয় পক্ষ/ভাড়াটিয়া উক্ত বাড়ী/ফ্যাটটির বিনিময়ে অথবা অত্র চুক্তিপত্রের বিপরীতে
ব্যাংক বা অন্য কোন ঋণ প্রদানকারী সংস্থার নিকট হইতে কোন প্রকার ঋণ গ্রহন করিতে পারিবেন
না।
১৫।
দ্বিতীয় পক্ষ/ভাড়াটিয়া সর্বদা আইন শৃঙ্খলা মানিয়া চলিবেন এবং প্রথম পক্ষ/মালিকের
বসবাসের কোন ব্যাঘাত ঘটাইতে বা সৃষ্টি করিতে পারিবেন না।
১৬।
দ্বিতীয় পক্ষ/ভাড়াটিয়া নিজ খরচে প্রয়োজনবোধ ডেকোরেশন কাজ করিবেন, যাহা প্রথম পক্ষ
মালিক বহন করিবেন না বরং বাড়ী/ফ্ল্যাটটির কোন প্রকার ক্ষতি সাধন হইলে অগ্রীম টাকা
হইতে তাহা কর্তন করা যাইবে।
১৭।
এখানে উল্লেখ্য যে, অত্র বাড়ী ভাড়া চুক্তিপত্রের বিপরীতে সদাশয় সরকার কর্তৃক কোন
ট্যাক্স বা কর যদি আরোপ করা হয়, তবে তাহা সরকারী বিধান অনুসারে দ্বিতীয় পক্ষ/ভাড়াটিয়ার
উপর যাহা বর্তাইবে তাহা নিজ দায়িত্বে পরিশোধ করিবেন।
১৮।
চুক্তির মেয়াদ শেষ হইলে বাড়ী/ফ্ল্যাটটি ছাড়ার সময় দ্বিতীয় পক্ষ/ভাড়টিয়া ডেকোরেশন
বাবদ কোন খরচ দাবী করিতে পারিবেন না। ডেকোরেশনের যাবতীয় মালামাল নিজ দায়িত্বে দ্বিতীয়
পক্ষ/ভাড়াটিয়া খুলিয়া নিয়া যাইতে পারিবেন। তবে সেক্ষেত্রে কোন ভবনের ক্ষতি না হয়
সেদিকে লক্ষ রাখিতে হইবে।
১৯।
চুক্তিপত্র মেয়াদকালীন সময়ে ভাড়াকৃত বাড়ী/ফ্ল্যাটটির কোন ক্ষতি সাধিত হইলে, তাহা
প্রথম পক্ষ/মালিক, দ্বিতীয় পক্ষ/ভাড়াটিয়া কর্তৃক দেয় অগ্রীম টাকা হইতে কর্তন করিয়া
নিতে পারিবেন।
চলমান পাতা-০৪
পাতা নং-০৪
২০।
এখানে উল্লেখ্য যে, প্রথম পক্ষ/মালিকের মূল গেট এবং সিঁড়ির গেট প্রতিদিন রাত ১০.৩০
ঘটিকা হইতে পরদিন সকাল ৭.০০ ঘটিকা পর্যন্ত অনিবার্য কারণবশতঃ বন্ধ থাকিবে বিধায় এ
সময়ে দ্বিতীয় পক্ষ ভাড়াটিয়া কোন জনবল ভাড়াকৃত বাড়ি/ফ্ল্যাটে যাতায়াত করিতে পারিবেন
না, তবে বিশেষ কারণে পূর্ব অনুমতি গ্রহন সাপেক্ষ্যে প্রবেশ করা যাইতে পারে।
এতদ্বার্থে স্বেচ্ছায়,
স্বজ্ঞানে, সুস্থ্য শরীরে অন্যের বিনা প্ররোচনায় অত্র ফ্ল্যাট/বাড়ী ভাড়ার চুক্তিনামা
দলিল লেখাইয়া, উহা পাঠ করিয়া ও অন্যের দ্বারা পাঠ করাইয়া উহার মর্ম ও ফলাফল ভালভাবে
অবগত হইয়া উপস্থিত স্বাক্ষীগণের মোকাবেলায় আমরা উভয় পক্ষ নিজ নিজ নাম সহি সম্পাদন
করিলাম। ইতি, তারিখঃ-
তফসিল
জিলাঃ ঢাকা, থানাঃ উত্তরা পশ্চিম থানাধীন, সেক্টর-০৯, রোড-০১, বাড়ী-৩১,
উত্তরা মডেল টাউন, উত্তরা, ঢাকার প্রথম পক্ষের
বাড়ীর ৫ম তলার দক্ষিণ দিকের বাড়ী/ফ্ল্যাটটি যাহার আয়তন আনুমানিক ১,১৫০ (এক হাজার
একশত পঞ্চাশ) বর্গফুট মাত্র (তিন শয়ন কক্ষ, তিন গোসল খানা, চার বারান্দাসহ, রান্নাঘর,
বসার ঘর ও খাবার জায়গা সম্বলিত)।
অত্র দলিল ০৪ (চার) পাতায় কম্পোজকৃত এবং ০২ (দুই) জন স্বাক্ষী বটে।
স্বাক্ষীগনের নাম, ঠিকানা
ও স্বাক্ষরঃ
১। প্রথম পক্ষ/মালিকের স্বাক্ষর
(মোঃ আনিসুর রহমান)
২। দ্বিতীয়
পক্ষ/ভাড়াটিয়ার স্বাক্ষর