অংশীদারী ব্যবসায়ের চুক্তিপত্র (মেডিসিন ব্যবসা) নমুনা

উত্তরা ঔষধ ব্যবসায়ী স্বপ্ন পূরন সমিতি
অফিসঃ বাড়ী # ২৩, রোড # ৩/বি, সেক্টর # ০৯, উত্তরা, ঢাকা—১২৩০।
অংশীদারী ব্যবসায়ের চুক্তিপত্র
১ম পক্ষ ঃ 
নাম— ..................................., পিতা— ............................, স্থায়ী ঠিকানাঃ গ্রাম— ................, পোঃ— .................., থানা—.................., জেলা— ................., বর্তমান ঠিকানাঃ বাড়ি নং— ........., রোড— ............, সেক্টর— ..........., উত্তরা, ঢাকা। প্রতিষ্ঠানের নাম—  ..............................................................।

২য় পক্ষ ঃ 
নাম— ..................................., পিতা— ............................, স্থায়ী ঠিকানাঃ গ্রাম— ................, পোঃ— .................., থানা—.................., জেলা— ................., বর্তমান ঠিকানাঃ বাড়ি নং— ........., রোড— ............, সেক্টর— ..........., উত্তরা, ঢাকা। প্রতিষ্ঠানের নাম—  ..............................................................।

৩য় পক্ষ ঃ 
নাম— ..................................., পিতা— ............................, স্থায়ী ঠিকানাঃ গ্রাম— ................, পোঃ— .................., থানা—.................., জেলা— ................., বর্তমান ঠিকানাঃ বাড়ি নং— ........., রোড— ............, সেক্টর— ..........., উত্তরা, ঢাকা। প্রতিষ্ঠানের নাম—  ..............................................................।
 

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
পরম করুনাময় মহান আল্লাহতালার স্মরনে অত্র ব্যবসার চুক্তিনামা দলিল আরম্ভ করিলাম। ব্যবসা উন্নয়ন ও সম্প্রসারন এর উদ্দেশ্যে আমরা উপরোক্ত পক্ষগণ অংশীদারিত্বের ভিত্ত্বিতে মূলধন বিনিয়োগ করতঃ  কারবারের অংশীদার হিসেবে কাজ করিয়া প্রত্যেকের যৌথ সুবিধার জন্য ব্যবসাটি সুপ্রতিষ্ঠিত ও সম্প্রসারণ করিবার জন্য ১ম, ২য়, ৩য়, ৪র্থ, ৫ম, ৬ষ্ঠ, ৭তম, ৮ম, ৯ম, ১০ম, ১১তম, ১২তম, ১৩তম, ১৪তম, ১৫তম, ১৬তম, ১৭তম, ১৮তম, ১৯তম, ২০তম, ২১তম পক্ষগণ উক্ত প্রস্তাবে সম্মতি জ্ঞাপন করিয়াছেন। সেহেতু নিম্নোক্ত শর্তাবলী সাপেক্ষে উপরে উল্লেখিত ব্যক্তিবগণ পারস্পরিকভাবে কারবারে অংশীদার হইতে সম্মতি জ্ঞাপন করিলে এই দলিল মূলে অংশীদার পরিগনিত হইলেন।
১। নাম ঃ উত্তরা ঔষধ ব্যবসায়ী স্বপ্ন—পূরন সমিতি

২। কার্যালয় ঃ এই সমিতির প্রধান কার্যালয়; বাড়ি  নং— ২৩, রোড নং— ৩/বি, সেক্টর— ৯, উত্তরা, ঢাকা।

৩। কর্মক্ষেত্র ঃ উত্তরাস্থ সমস্ত এলাকা এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনে সমগ্র বাংলাদেশ।

৪। প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্য ঃ পক্ষগণের সম্মতিক্রমে এই সমিতিটি যাবতীয় ঔষধ, ডিলারশীপ, ডায়াগণষ্টিক সেন্টার, হাসপাতাল, ক্লিনিক, মাল্টিপার্পাস ও আমদানি—রপ্তানি এবং ম্যানুফ্যাকচার করিতে পারিবেন।

৫। প্রতিষ্ঠানের পুজি ঃ
ক) প্রত্যেক পক্ষ প্রতি মাসে ১০ তারিখের মধ্যে ১০,০০০/— (দশ হাজার) টাকা করে জমা দিবেন।
খ) ব্যবসায়ে এই পুজি ছাড়াও যেকোন সময় ব্যবসার উন্নতির জন্য সকলের সম্মতিক্রমে /মতামতের ভিত্তিতে থোক—বরাদ্দ প্রদান করিবেন।
গ) কোন পক্ষ ১০ তারিখের মধ্যে টাকা দিতে ব্যর্থ হলে পরবতীর্ ১০ তারিখে ২০,০০০/— (বিশ হাজার) টাকা এবং জরিমানা ১,০০০/— টাকাসহ ২১,০০০/— (একুশ হাজার) টাকা প্রদান করিবেন এবং পর পর ২ মাস টাকা দিতে ব্যর্থ হলে ৩য় মাসে ৩০,০০০/— (ত্রিশ হাজার) টাকা ও জরিমানা ৪,০০০/— টাকা সহ ৩৪,০০০০/—  (চৌত্রিশ হাজার) টাকা প্রদান করিবেন। ৩য় মাসে টাকা প্রদানে ব্যর্থ হলে সকল পক্ষগণ উক্ত পক্ষকে নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহন করিবেন।
ঘ) সকল পক্ষগণ সমিতির শুরু থেকে ২ বৎসর (২৪ মাস) টাকা জমা করবেন এবং ব্যবসার ২ বৎসরের লাভ—ক্ষতি সকল পক্ষের মাঝে বন্টন হইবে। ২ বৎসর পূর্বে কোন ব্যক্তি চলে যেতে চাইলে ব্যবসার কোন লভ্যাংশ দেওয়া হবে না। শুধু মাত্র জমাকৃত টাকা ফেরত দেওয়া হবে। 

৬। লাভ—লোকসান বন্টন ঃ ২ বৎসর পর মোট সমিতির পূর্বের ব্যবসার লাভ—ক্ষতি হিসাব করে প্রত্যেক পক্ষের মূলধন নির্ধারন করা হইবে এবং পরবতীর্ মাস থেকে  প্রতি মাসের হিসাব প্রতি মাসে করে লাভের ৫% বি. সি. ডি. এস, উত্তরা শাখায় রেখে বাকি টকা উক্ত পক্ষগণের মধ্যে বন্টন করা হইবে।

৭। ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনা ঃ 
ক) মাসিক, ত্রৈমাসিক, ষান্মাষিক এবং বাৎসরিক হিসাব বিবরণী তৈরি করা হইবে যাহা অফিসে সংরক্ষিত থাকবে। যাহা সকল পক্ষ অফিসে তাহা দেখিবেন এবং পরীক্ষা—নিরীক্ষা করিবেন।
খ) ব্যবসার সুবিধার্থে স্টাফ নিয়োগ এবং সার্বিক পরিচালনার দায়িত্বে থাকবেন ১ম, ২য়, ৩য় ও ৪র্থ পক্ষগণ।

৮। সভাঃ প্রতি মাসে কমপক্ষে ১টি এবং প্রয়োজনে ২টি সভা হইবে এবং ব্যবসায়িক প্রয়োজনে জরুরি সভাও হতে পারে।

৯। দায়—দায়িত্ব ঃ 
ক) ব্যবসায়িক প্রয়োজনে ১ম পক্ষ বাকি পক্ষগণের মধ্যে হইতে তিন জনকে দায়িত্ব দিবেন এবং তারাই উক্ত ব্যবসার হিসাব—নিকাশ এবং দায়—দায়িত্ব বহন করিবেন।
খ) প্রত্যেক ব্যবসার কমপক্ষে ৩ জন দায়িত্বে থাকিবেন এবং দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ পক্ষের মধ্যে যে কোন একজন অবশ্যই দায়িত্বে থাকবেন।
 
১০। শেয়ার হস্তান্তর ঃ
কোন পক্ষ তার শেয়ার অন্য কারো নিকট হস্তান্তর করিতে পারিবে না। তবে, তার স্থলে তার নমিনি বা তার পরিবারের একজনের কাছে হস্তান্তর করিতে পারিবে।

১১। খেসারত ঃ দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিগণ ব্যবসায়িক স্বার্থে এবং পক্ষে কোনরূপ দায়িত্ব পালন করিতে যাইয়া ক্ষতিগ্রস্থ হন এবং অর্থ ব্যয় করেন তাহলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তাকে বা তাহাদিগকে খেসারত প্রদান করিবে। যদি ক্ষতি তাদের ইচ্ছাকৃত অবহলো বা গাফলতির জন্য না হয়।

১২। অংশীদারের মৃত্যু ঘটিলে ঃ
যদি কোন অংশীদার মৃত্যুবরণ করেন তবে তাহার ওয়ারিশ অথবা আইনগত প্রতিনিধি এই শেয়ারের মালিক হইবেন।

১৩। অংশীদারগণের দায়িত্ব, কর্তব্য ও অধিকার ঃ
ক) ব্যবসার যাবতীয় দায় দেনার জন্য অংশীদারগণ যৌথভাবে এবং প্রত্যেক অংশীদার সমভাবে দায়ী থাকিবেন।
খ) অংশীদারগণ হিসাবের খাতা পত্রাদি দেখিতে ইচ্ছা প্রকাশ করিলে নির্বাহী অংীদার তাহা দেখাইবে এবং প্রয়োজনে বোঝাতে বাধ্য থাকিবেন।
গ) অংশীদারগণ আইন ও রাষ্ট্রবিরোধী কোন ব্যবসা বা লেনদেন করিতে পারিবেন না।
ঘ) কোন অংশীদারের ব্যক্তিগত কাজের জন্য অন্যান্য অংশীদার দায়ী থাকিবেন না।

১৪। অংশীদারগণের মধ্যে বিরোধ দেখা দিলে তাহা নিষ্পত্তির নিয়ম ঃ—
অংশীদারগণের মধ্যে মতানৈক্য বা বিরোধ দেখা দিলে উহা সব অংশীদারগণ মিলে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে নিষ্পত্তি করিয়া দিবেন। যদি অংশীদারগণ দ্বারা সম্ভব না হয় তাহা হইলে সালিশীর মাধ্যমে বিরোধ নিস্পত্তি করা হইবে। দুই বিবাদমান পক্ষ একজন করিয়া মধ্যস্থতাকারী নিয়োগ করিবেন যাহার রায় বাধ্যতামূলক ও চূড়ান্ত হিসেবে গণ্য করা হইবে।

১৫। ব্যাংক একাউন্ট ঃ সমিতির নামে একটি বা একাধিক একাউন্ট খোলা হইবে। যেখানে প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় পক্ষের যে কোন দুই জনের যৌথ স্বাক্ষরে টাকা উত্তোলন করিবেন।

১৬। নিয়ন্ত্রন ঃ এই সমিতিটি বাংলাদেশ সরকারের সমিতির আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রন করা হইবে।

১৭। প্রতিষ্ঠানের অর্থ বা সম্পত্তি আত্মসাৎ ঃ কোন পক্ষ যদি সমিতির সম্পত্তি আত্মসাৎ করেন তবে দেশের প্রচলিত ফৌজদারী/ দেওয়ানী আইন অনুযায়ী বিচারের সম্মুখীন হইবে।

১৮। বিলুপ্তি ঃ সকল পক্ষগণের সর্বসম্মত মতামতের ভিত্তিতে এই সমিতির বিলুপ্তির করা যাইতে পারে।

১৯। বিবিধঃ সময়ে সময়ে এই চুক্তিপত্রের বাহিরে যে কোন বিষয় সংযোজন, বিয়োজন, পরিবর্তন, পরিবর্ধন করিতে হইলে দুই তৃতীয়াংশের (২/৩) অর্থাৎ সংখ্যা গরিষ্ঠ জনের মতামতের ভিত্তিতে করা যাইবে।

উপরে উল্লেখিত শর্তাবলী পড়িয়া, বুঝিয়া ও সম্মতি জ্ঞাপন করিয়া স্বজ্ঞানে ও সুস্থ্য মস্তিষ্কে অপর কাহারো ভয় ভীতি বা প্ররোচনা ব্যতীত অদ্য অত্র অংশীদারী ব্যবসায়িক চুক্তিপত্রের মর্ম ও ভবিষ্যৎ ফলাফল সম্পর্কে অবগত হইয়া চুক্তিপত্রের  সকল শর্ত পালনের উপস্থিত স্বাক্ষীগণের সম্মুখে অত্র চুক্তিনামায় নিজ নিজ সহি সম্পাদন করিলাম।

কোন পক্ষ যদি অত্র চুক্তি সংযোজন, বিয়োজন করিতে চাহিলে সমিতি অফিসে এসে অত্র কপি সহ সাক্ষাত করিবেন।

Post a Comment

Previous Next

نموذج الاتصال

Clicky